ট্যাব অথবা প্যাড

ট্যাব অথবা প্যাড

জীবনে দ্বিতীয়বার ট্যাব অথবা প্যাড নিলাম।

মোবাইলের ছোট স্ক্রিণে মাল্টিমিডিয়া উপভোগ করতে বেশ ঝামেলা হচ্ছিল। ছোট স্ক্রিণে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকা যেমন বিরক্তিকর তেমন কষ্টসাধ্য। তাই প্রথমে ল্যাপটপ নেয়ার কথা ভাবছিলাম। আ্যপল ইকোসিস্টেমের মজা পেয়ে যাওয়ায় ম্যাকবুক ছাড়া অন্য ল্যাপটপ পছন্দ হচ্ছিল না। এদিকে ম্যাকবুকের যা দাম তা জোগাড় করতে বেশ সময় লেগে যাবে। তাই দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজছিলাম।

তখনই মাথায় এল ট্যাবলেট ডিভাইসের কথা। কয়েক বছর আগে সিম্ফনির একটা ট্যাবলেট ব্যবহার করেছিলাম কয়েক মাস। আমার ইউটিউব চ্যানেলে এটার রিভিউও করেছিলাম। সেই অভিজ্ঞতার কারণে ট্যাবলেট নিয়ে এক ধরণের আকর্ষণ কাজ করত। কোন ট্যাবলেট নিব ভাবতেই আবারও আইপ্যাডের চিন্তা এল এবং যথারীতি বাজেট বিবেচনায় সেটা বাতিলও হয়ে গেল। এছাড়া থাকে উইন্ডোজ ও অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট। মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ট্যাবলেটের দাম প্রায় ল্যাপটপের কাছাকাছি। এছাড়া নির্ভরযোগ্য উইন্ডোজ ট্যাবলেট কেউ বানায় না। অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেটই এখন শেষ ভরসা।

অ্যান্ড্রয়েড ট্যাবলেট মার্কেটে স্যামসাং এর জয়জয়কার। কিন্তু স্যামসাং এর নিজস্ব ইকোসিস্টেমের কারণে ওদের প্রোডাক্টগুলো আমাকে টানত না। বাকি থাকল অন্যান্য চাইনিজ বা দেশী ব্র‍্যান্ডগুলো। যেহেতু মুভি, ওয়েব সিরিজ এবং ইউটিউব প্ল্যাটফর্মই বেশি ব্যবহার করা হবে তাই ডিসপ্লে সাইজ একটু বড় নিতে চাচ্ছিলাম। পাশাপাশি ওয়েব ব্রাউজিং, ইবুক পড়া বা টুকটাক গেমিং চাইলে সব ধরণের ট্যাবেই কম বেশি করা যাবে। শাওমি ব্র‍্যান্ডের একটা ট্যাব বেশ পছন্দ হল কিন্তু দামে আইপ্যাড ছুঁয়ে ফেলে। তাই সেটাকে চূড়ান্ত বিবেচনায় রাখা গেল না। 

অবশেষে পছন্দ করলাম হনর ব্র‍্যান্ডের ২টি ট্যাবলেট। ২টার মধ্যে তুলনা করে দেখলাম একটিতে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন বেটার তো অন্যটিতে ডিসপ্লে বেটার। ডিসপ্লের পাশাপাশি র‍্যাম বেটার তবে প্রসেসর সামান্য দূর্বল। এদিকে দারাজের রামাদান ক্যাম্পেইনে ২০০০ টাকা ডিস্কাউন্ট দেখে আর লোভ সংবরণ করা গেল না। নিয়ে ফেলাম হনর প্যাড ৮ ডিভাইসটি। আশা করি সাধ্যের মধ্যে সাধের ডিভাইসটি ভালো সার্ভিস দিবে।

Image

But life is long. And it is the long run that balances the short flare of interest and passion.

- Sylvia Plath

Related Articles

Image