অ্যাপল ওয়াচ কেনার দিন
আজকের দিনটা একটু অন্যরকম সুন্দর। অনেক দিনের কাঙ্খিত শখটি আজ পূরণ করলাম।
মাঝে মাঝে নিজেকে ভীষণ স্বার্থপর মনে হয়। আবার মনে হয় শখগুলো আছে বলেই তো সুন্দর এই জীবনতরী। প্রায় বছরখানেক ধরে শখটি বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছিলাম। আর্থিক মূল্য বিবেচনা করে হয়তো কখনোই কেনা হয়ে উঠত না। আমার থেকেও অর্ধাংগিনীর প্রবল উৎসাহই এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। আজ সেই আরাধ্য জিনিসটি আমার কব্জিতে শোভা পাচ্ছে। মাসখানেক থেকে পরিকল্পনা করছিলাম এবার অ্যাপল ওয়াচটি নিয়েই ফেলব। বিভিন্ন দোকানের পেইজে দেখছিলাম কে কত দামে দিচ্ছে, পছন্দের সাইজ এবং কালার এভেইলেবল আছে কি না। শুক্রবার শেষ কর্মদিবসে বন্ধু আকাশকে নিয়ে বসুন্ধরা শপিং মল থেকে কিনব ভেবেছিলাম। পরে বন্ধুর ব্যস্ততা ও দূরত্ব বিবেচনা করে যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে নেবার সিদ্ধান্ত নিই। কলিগ ও বন্ধু নূরকে বলে রেখেছিলাম যে আগামীকাল যমুনায় যাব।
তবু আজ সকাল থেকেই আবারো সিদ্ধান্তের দোলাচালে ভুগছিলাম। ভাবছিলাম একটি বিলাসী ঘড়ি হয়তো ভালো সময় এনে দিতে পারে না। মানুষ নিজেই তার সময়কে তৈরি করে। যাই হোক আরেক কলিগ ও বন্ধু ইমরানকে ফোন দিলাম দুপুরে আজ বিকালে যাবার জন্য। এদিকে নূরও আমাদের আরেক জুনিয়র কলিগ ও বন্ধু গোপীকে নিয়ে আসছে।
অতঃপর সবাই মিলে বেশ কিছু দোকানে দাম এবং এভেইলিবিলিটি যাচাই করি। নুর ও গোপী পরামর্শ দেয় এয়ারপড এবং অ্যামেজফিটের ঘড়ি এই দামে নিয়ে নিতে। কিন্তু শখ যে একটি অ্যাপল ওয়াচের! অবশেষে অনেক ঘোরাঘুরির পর একটি দোকান থেকে কেনার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু প্যাকেট খুলতেই দেখি এটি আমার পছন্দের রঙের নয়। ভাগ্যিস ইন্ট্যাক্ট বক্স ওপেন করি নি। শুধুমাত্র উপরের মোড়ক খুলেছিলাম। তখনি দোকানদারকে বলায় উনি সঠিক রঙের ঘড়িটি এনে দিলেন। যথারীতি ঘড়ি কেনার পর সবার ক্ষুধা লেগে গেল। সামান্য আহার সেরে ফিরে এলাম বাসায়। একটি সুন্দর দিনের সমাপ্তি হল।
Lost time is never found again.
- Benjamin Franklin